বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৪৪ অপরাহ্ন
স্বাস্থ্য ডেস্ক:
উৎসবের মৌসুম শেষ হতে চলল। কিন্তু শরীরচর্চায় যে ব্যাঘাত ঘটেছে, তা আর শুরু করতে ইচ্ছেই করছে না। আর নানারকম খাবার খাওয়া তো আছেই। নিজেকে সংযত রেখেও বন্ধু, পরিবার, আত্মীয় সকলের অনুরোধে সেই নানা খাবার খেয়ে ফেলছেন।
ফলে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়ছেন ডায়াবেটিস রোগীরা। কারণ, রক্তে শর্করার মাত্রা কেমন থাকবে, তা অনেকটাই নির্ভর করে ব্যক্তির জীবনযাপনের ওপর। এই জীবনযাত্রায় যদি হঠাৎ পরিবর্তন আসে, তখন শর্করার মাত্রা বিঘ্নিত হবেই। বিশেষজ্ঞদের মতে, রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক রাখতে হলে শুধু ওষুধ খেলেই হবে না; খাওয়াদাওয়া ও শরীরচর্চার বিষয়েও সচেতন হতে হবে।
চিকিৎসকের পরামর্শমতো ওষুধ খাওয়া ছাড়াও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে আর যে বিষয়গুলোতে সচেতন হওয়া প্রয়োজন…
১. মাত্রা বুঝে ওষুধ খান : উৎসবের মৌসুমে চিকিৎসকের বারণ করা এমন কত কী যে খেয়েছেন, তার ঠিক নেই। তার ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গেছে। কিন্তু ওষুধ খাচ্ছেন সেই আগের মাত্রা অনুযায়ী। ফলে শর্করার মাত্রা তো কমছেই না, উল্টে চিন্তায় পড়ে ভারসাম্য বিঘ্নিত হচ্ছে। এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন একটি উপায়ে। নিয়মিত রক্ত পরীক্ষা করে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে ওষুধের মাত্রা নির্ধারণ করে নিন।
২. পানির ঘাটতি যেন না হয় : শরীরে পানির অভাব হলে নানারকম রোগের উৎপত্তি হয়। রক্তে শর্করার ভারসাম্য ঠিক রাখতে গেলেও পরিমাণমতো পানি খাওয়া জরুরি। প্রতিদিন অন্তত ৬ থেকে ৭ গ্লাস পানি খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে রক্তে শর্করা থাকার ফলে যদি কিডনির সমস্যা দেখা দেয়, সে ক্ষেত্রে অবশ্যই পানি মেপে খেতে হবে।
৩. পরিকল্পনা করে খাবার খান : হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী ফল, শাক-সবজি, দানাশস্য সবেতেই প্রাকৃতিক চিনি থাকে। সুতরাং সারা দিনে আপনি কী খাবেন বা কতটা খাবেন, তার ওপর নির্ভর করবে রক্তের শর্করার মাত্রা। কিভাবে দিনের প্রতিটি খাবারের ক্যালরি অনুযায়ী ভারসাম্য বজায় রেখে খাবার খাবেন, তার পরিকল্পনা আগে থেকে করে রাখাই ভালো।
৪. শরীরচর্চা করতেই হবে : ছুটির মেজাজে থাকলে আর শরীরচর্চা করতে ইচ্ছা করে না। অনেকেই মনে করেন, টানা শরীরচর্চার রুটিন থেকে দুটি দিন বাদ পড়লে বোধ হয় এমন কিছু ক্ষতি হবে না। সাধারণ, সুস্থ মানুষের ক্ষেত্রে খুব একটা সমস্যা না হলেও ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে তা সমস্যার কারণ হতেই পারে। তাই খুব বেশি কিছু না করলেও প্রতিদিন অন্তত ১০ মিনিট হাঁটাহাঁটি বন্ধ করা যাবে না।
৫. কার্বজাতীয় খাবার কম : সারা দিনে যত রকম খাবার খাচ্ছেন, তার মধ্যে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ একেবারে কমিয়ে ফেলার চেষ্টা করুন। সাধারণ বাড়ির খাবার খাওয়ার অভ্যাস থাকলে হঠাৎ কোনো পরিবর্তন আনতে যাবেন না। এতে রক্তে শর্করার ভারসাম্য বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যেতে পারে।
ভয়েস/আআ